নারায়ণগঞ্জ নিউজ ২৪ ডট কমঃ সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপ-২০১৮ এর চরম উন্মাদনা। প্রতিবারের এ বারেও ৩২ টি দেশের অংশগ্রহনে ফুটবল বিশ্বকাপের ২১ তম আসরের বড় ১টি অংশ জুড়ে আছে নিজ নিজ পছন্দের দেশের জার্সি সংগ্রহ করা।
বাংলাদেশের জন্য গর্বের একটি বিষয় এই ফুটবল বিশ্বকাপের এই জার্সি। কেননা ফুটবল বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ফুটবল দল অংশ নিতে না পারলেও, বিশ্বকাপের জার্সিতে ঠিকই লেখা থাকে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সিংহভাগ জার্সিই বাংলাদেশ থেকে বানিয়ে নেয় দেশগুলোর জার্সি স্পন্সররা।
শুধুই জার্সি নয় হাফপ্যান্ট, জ্যাকেট , গেঞ্জিসহ নানাধরনের পণ্য তৈরি ও সরবরাহ করছে বাংলাদেশ।
ইংলিশ ফুটবল দলের জার্সি স্পন্সর হিসেবে তাদের বিশ্বকাপ জার্সি যোগান দেয়ার দায়িত্বে রয়েছে নাইকি। নাইকি এসব জার্সি বানিয়ে নেয় বাংলাদেশের সাভার অঞ্চলের গার্মেন্টস কারখানা থেকে। পরে জাতীয় দলকে তাদের চাহিদামতো জার্সি সরবরাহ করে বাকি জার্সিগুলো বাজারে বিক্রি করে নাইকি।
তাই বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ কে রঙ্গিন করে মাতিয়ে তুলবে বিশ্বখ্যাত তারকা ফুটবলারদের গায়ে জড়িয়ে থাকা “মেইড ইন বাংলাদেশ” ট্যাগ যুক্ত তৈরি পোশাক। এবার ফুটবল বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ১০০ কোটি ডলারের পণ্য যা গত ২০১৪ বিশ্বকাপ আসরে ছিল প্রায় ৭০ কোটি ডলার ।
বিকেএমই এর সহ-সভাপতি এ প্রসঙ্গে জানান, বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড এডিডাস, পুমা , নাইকির মত প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া- সংশ্লিষ্ট পোশাক বানিয়ে থাকে। মুলত তিন ধরনের জার্সি বানিয়ে থাকে পোশাক কারখানাগুলো যার মধ্যে রয়েছে প্লেয়ার জার্সি, ফ্যান জার্সি ও কান্ট্রি জার্সি। এর মধ্যে বেশিরভাগ রয়েছে ব্রাজিল, পর্তুগাল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি , ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি ও বেলজিয়াম ভক্তদের জন্য তৈরি।
সুত্রঃ ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম ডেইলি টেলিগ্রাফ