নারায়ণগঞ্জ নিউজ ২৪ ডট কমঃ গবেষণাগার থেকে কয়েকটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) বের করেছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছে একটি রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র সরিয়ে নেয়া শনাক্ত করা হয়েছে। ফলে পিয়ংইয়ং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জোর জল্পনা-কল্পনা চলছে।
দক্ষিণ কোরিয়ান ব্রডকাস্টিং সিস্টেমের (কেবিএস) বরাত দিয়ে রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
কেবিএস জানায়, দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা পিয়ংইয়ংয়ের উত্তরে সানুম ডংয়ে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে ক্ষেপণাস্ত্র স্থানান্তর শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও প্রতিবেদনে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কখন এবং কোথায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো হতে পারে মধ্যম মাত্রার হুয়াসং-১২ অথবা আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হুয়াসং-১৪। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ওই এলাকায় কোনো অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড লক্ষ করা যায়নি বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়া আশঙ্কা প্রকাশ করছে, ১০ অক্টোবর উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অথবা ১৮ অক্টোবর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস উপলক্ষে দেশটি আরও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালাতে পারে। এদিকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চলমান বিরোধের মধ্যে দেশটির ব্যাপারে আলোচনা করতে চীন সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।
শনিবার টিলারসন চীনে পৌঁছান। রয়টার্স জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দেশ চীনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আলোচনায় তিনি উত্তর কোরিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে চাপে রাখার বিষয়কে সামনে রাখবেন। আলজাজিরা জানায়, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। শত হুমকিতেও দমছে না দেশটি। এমন বাস্তবতায় করণীয় ঠিক করতে চীনে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শনিবারের বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং, স্টেট কাউন্সিলর ইয়াং জি চি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে আলোচনা করবেন টিলারসন। সফরের বিষয়ে চীন জানায়, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে তারা কঠোর হবে।
বৃহস্পতিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী জানুয়ারির আগেই জাতিসংঘের পরিকল্পনা অনুযায়ী চীন ও অন্যান্য দেশে উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে। টিলারসনের চীন সফর আদৌ
কোনো সুফল বয়ে আনবে কিনা- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে ওয়াশিংটনে মার্কিন সিনেটর জন ম্যাককেইন বলেন, ‘বিগত তিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য চীন কিছুই করেনি। এবারও চীন কিছু করবে কিনা, আমি নিশ্চিত নই।’