বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫
৫ চৈত্র, ১৪৩১, বসন্তকাল

গ্রেফতার আতঙ্কে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা

ডেস্ক রিপোর্ট

আন্দোলন প্রত্যাহারের পরও চাকরি হারানো ও গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে আটক আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়ককে শুক্রবার ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠান ঢাকার বিশেষ আদালত। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আন্দোলনের সমন্বয়ক এজিএম আব্দুল হাকিম ও এজিএম সালাউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন ও অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহক সেবা চালু রেখেই নিয়মতান্ত্রিকভাবে অহিংস আন্দোলন করে আসছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও আরইবি কর্তৃক বিনা কারণে ২০ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত ও ১০ জনের নামে মামলা করা হয়। আরইবির এ উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিচ্যুতির আদেশ বাতিলের দাবিতে শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। পরবর্তীতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের অনুরোধে সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাবি পূরণে আলোচনা এবং আটকদের ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাসে আলোচনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কর্মসূচি প্রত্যাহারের পরও রাতেই আরও ৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং আরইবি হতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট অসত্য তথ্য প্রদান করায় বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে গতরাত ও আজকে সারাদিন ধর পাকড় চালিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ধর-পাকড় ও মামলায় আতঙ্কে সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা স্টেশনে অবস্থান করতে পারছেন না। এমন অবস্থায় গ্রাহক প্রান্তে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সচল রাখা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

ফলে চলমান সংকট নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অন্যথায়, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে এর দায়ভার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো বহন করবে না।

সর্বশেষ সংবাদ