সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫
২ আষাঢ়, ১৪৩২, বর্ষাকাল

ঘূর্ণিঝড় দানা’র ভয়ে কাঁপছে পশ্চিমবঙ্গ

ডেস্ক রিপোর্ট

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হয়েছে ঘূর্নিঝড় ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পশ্চিমবঙ্গের ৯ জেলায় স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনেক সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) থেকে শনিবার (২৬ অক্টোবর) পর্যন্ত রাজ্যের স্কুলগুলো বন্ধ থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কেউ গিয়ে কোনো বিপদে পড়ুক সেই ঝুঁকিটা আমরা নিতে চাই না। তাছাড়া অনেক সময় দূর্গত এলাকার মানুষদের নিয়ে এসে স্কুলে রাখতে হয়। একই সঙ্গে ওই সময়সীমার মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলায় অবস্থিত সব ‘ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস’ (আইসিডিএস) বন্ধ রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্তা সিস্টেম রয়েছে, সেটা থেকে একটা নিম্নচাপ তৈরির জোরালো সম্ভাবনা আছে। এটা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এরকম একটা আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর এবং আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে সেটা শক্তি বাড়িয়ে শক্তিশালী ঝড় হিসাবে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত থেকে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালের মধ্যে পুরি এবং সাগরদ্বীপের যে কোনো স্থানে আঘাত হানবে।

সে সময় বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার হতে পারে। কিন্তু কোথাও কোথাও প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। এছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও এর প্রভাব পড়তে পারে যেমন কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম।

ঘূর্ণিঝড় দানার সম্ভাব্য পরিণতি মোকাবিলায় ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব রেল ১৩৫ টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্নিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই কলকাতার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানগুলোকে কিভাবে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে, কোথায় রাখা হবে, ফ্লাইট বাতিল হবে নাকি ভিন্ন পথে চলবে এসব বিষয় নিয়ে পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ