বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি তার মন্ত্রিপরিষদ এবং সহযোগীদেরও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর মামলার আবেদনটি করেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি একজন আইনজীবীসহ আরও দুজন ব্রিটিশ আইনজীবী। মামলার বাদী ‘থ্রি বোল্ট কোর্ট চেম্বার্স’এর ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল আরেফিন শুক্রবার সন্ধ্যায় লন্ডন-বাংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
আইনজীবী আশরাফুল আরেফিন বলেন, মামলায় তার সঙ্গে রয়েছেন ব্যারিস্টার সারাহ ফোরে ও ব্যারিস্টার এমিল লিক্সান্দ্রু। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইসিসি থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আসামিদের বিভিন্ন অপরাধের মধ্যে রয়েছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, গোপন বন্দীশালায় নির্যাতন, চলাচল ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং গণহত্যার মত গুরুতর অপরাধ। মামলায় ভুক্তভোগীদের উপর সংঘটিত সহিংসতা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন এবং ব্যাপক নিপীড়নের দলিলসহ ব্যাপক প্রমাণাদি উপস্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে সাক্ষী, ভিডিও প্রমাণ এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী আশরাফুল আরও বলেন, শেখ হাসিনার ভারত থেকে রাজনৈতিক সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনার কারণে স্থানীয় আদালতে ঘোষিত কোনো দণ্ড কার্যকর হওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে ভারত তার বিচারে সহযোগিতা করতে বাধ্য হতে পারে।