শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, হেমন্তকাল

আলাদীনের চেরাগ ঘষে কয়েকশ কোটির মালিক নীলা

বিশেষ প্রতিনিধি

দুই যুগ আগেও ছিলেন সামান্য ব্র্যাককর্মী। পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে নুন আনতে পানতা ফুরানোর মতো অবস্থা। একদশকের ব্যবধানে কয়েকশ কোটি টাকার মালিক তিনি। রূপগঞ্জ, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে তার বিলাশবহুল বাড়ি, গাড়ির শোরুম ও বিদেশে রয়েছে কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য। চলাচলের সময় ডানে-বামে থাকে সুঠাম নারী দেহরক্ষী। আর পেছনে বিশাল নারীর বহর। তার কাছে যেন পুরো রূপগঞ্জ জিম্মী। বলা হচ্ছে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী আলম নীলার কথা। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। ভাইস চেয়ারম্যান পদ ছিল তার কাছে আলাদীনের চেরাগের মতো। চেরাগ ঘষলেই যেন বিপুল অর্থ-সম্পদ আসতো নীলার হাতে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রূপগঞ্জের ইউসুফগঞ্জ ভোলানাথপুর এলাকার আজিমউদ্দিন ভূঁইয়ার মেয়ে ফেরদৌসী আলম নীলা। সংসারের অভাব অনটনের কারণে নীলা চাকরি নেন ব্র্যাক নামে একটি এনজিও সংস্থায়। অপরদিকে, তার স্বামী ফটিকও একই এনজিওতে চাকরি করতেন। একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে নীলা ও ফটিকের মাঝে প্রেমে সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের কয়েকমাস পরই তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর ব্র্যাকে চাকরি করে কোন রকমে চলতো তাদের সংসার। ফটিক তার শ্বশুরবাড়িতে ঘর জামাই হিসাবে থাকতো। নীলা ও তার স্বামী ফটিক বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দল বদলে ফেলেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর হাত ধরে নীলা বনে যান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে পরপর তিনবার উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হন তিনি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে নীলা-ফটিক দম্পতির ভাগ্যের চাকা। আর সেখান থেকেই ফটিক বনে যান শাহআলম। মাঠকর্মী নীলা-ফটিক মিলে উপজেলা ভাইস চেয়ারমান পদকে পুঁজি করে পূর্বাচল লেডিস ক্লাব, পূর্বাচল ক্লাব থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি, সরকারি বরাদ্দের টাকা লোপাট, ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে অবৈধভাবে কয়েকশ কোটি টাকার মালিক বনে যান।

ফেরদৌসী আলম নীলার রূপগঞ্জে ইছাপুরা এলাকার ৬শতাংশ সরকারি জমি দখল গড়ে তোলেন তিনতলা বিশিষ্ট একটি বিলাশবহুল বাড়ি। বাড়িটি নির্মাণে খরচ হয় প্রায় ৩ কোটি টাকা। বাড়িটির ভেতরে সকল আসবাবপত্র দেশের বাইরে থেকে আনা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। পরে দুদকে অভিযোগের ভিত্তিতে নীলার বাড়িটির সরকারি জমিতে করা হয়েছে প্রমাণ হলে ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর বাড়িটি ভেঙে ফেলে দুদক। পরে ২০২১ সালের শুরুর দিকে ক্ষমতা ব্যবহার করে সেই জমিটি পুনরায় দখল করে প্রথমে আওয়ামী লীগের অফিস করেন নীলা। পরে সেখানে আবারো বিলাশবহুল বাড়ি নির্মাণ করেন নীলা। এছাড়া কুড়িল বিশ্বরোড রেললাইনের পাশেই নীলার ৬ শতাংশ জমিতে একটি ৫তলা বিশিষ্ট বিলাশবহুল বাড়ি রয়েছে। বাড়িটির মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এছাড়া যমুনা ফিউচার পার্ক মার্কেটের জেন্টেল পার্কসহ দুইটি বিশাল শোরুম রয়েছে নীলার। শোরুম দুটি কেনাসহ সবমিলিয়ে খরচ প্রায় ৫০ কোটি টাকার উপরে। এছাড়া রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকার নোয়াদ্দা এলাকায় টোকিও নামে একটি বিশাল গাড়ির শোরুমের মালিক নীলা। শোরুমটি নীলার স্বামী ফটিক দেখাশুনে করেন।

শুধু তাই নয়, পূর্বাচল উপশহরে ১ ও ৫ নম্বরসহ বেশকয়েকটি সেক্টরে নীলার একডজনের বেশি প্লট। যেই প্লটগুলোর মূল্য প্রায় ৫০ কোটির উপরে। এছাড়া রূপগঞ্জের ইছাপুরা, বাঘবেড়সহ বেশকয়েকটি এলাকায় তার প্রায় অর্ধশত বিঘার উপরে জমি রয়েছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে নীলা অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকায় বিদেশে সম্পদ গড়ে তুলেছেন চীন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের পাতায়াতে। সেসব দেশ নীলার ব্যবসা ও বাড়ি রয়েছে বলে জানা গেছে। নীলা তার বড় ভাই সিরাজকে দিয়ে পূর্বাচলের পাশে ইছাপুরা এলাকায় গড়ে তোলেন রাজভ্যালী নামে একটি আবাসন প্রকল্প। এই আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমের সাধারণ কৃষকদের জমি জোরপূর্বক দখল করে বালু ভরাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইউসুফগঞ্জ এলাকায় শ্মশান ও খালের জমি দখল করে একটি বিলাশবহুল বাড়ি বানিয়েছিলেন নীলা। ১ নম্বর সেক্টরের ইছাপুর মৌজার মন্দির ও শ্মশানের জন্য জায়গা দিয়েছিল রাজউক। সেই জায়গার একাংশ ও পাশের খালের জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছিলেন নীলা। স্থানীয় বাসিন্দারা রাজউককে জানালে সেটা গুঁড়িয়ে দেয় রাজউক। পরে সেই জায়গায় আবারো স্থাপনা করেন নীলা।

এক দশকের ব্যবধানে ধনকুবের বনে যাওয়া ফেরদৌসী আলম নীলার থাবা থেকে বাদ যায়নি পূর্বাচলে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জমি। সেই জমিতে তিনি গড়ে তুলেন ‘নীলা মার্কেট’। এই মার্কেট থেকে নীলা তার লোকজন দিয়ে প্রতিমাসে ১০ লাখ চাঁদা উঠাতো। নীলা মার্কেটর আড়ালেই চলতো তার অন্যান্য সকল অপরাধ কর্মকাণ্ড। মার্কেটের আশপাশের এলাকাগুলো এখন অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানা পরে সরকার ক্রীড়া একাডেমির জমিটি টিনের বেষ্টনী দিয়ে আটকে দেওয়ার পরও থামেনি নীলার চাঁদাবাজি। টিনের বেষ্টনীর পাশে সরকারি প্লট দখল করে আবারো মার্কেট তৈরি করেন। সেখান থেকেও মাসে ১০ লাখ চাঁদা আদায় হয়। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে প্রশাসনও তার সাথে পেরে উঠেনি। স্বামী ফটিক তার স্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসায়ও জড়িয়ে পড়েন।

অনুসন্ধ্যানে আরো জানা যায়, প্রতিবন্ধীদের খেলার মাঠ দখল করে লেডিস ক্লাব করে সেখান থেকে প্রায় ১২ কোটি আত্মসাৎ করেন নীলা। পূর্বাচলের ১৩ নম্বর সেক্টরের ৩০৫ নম্বর রোডে প্রায় তিন বিঘা জমি প্রতিবন্ধীদের খেলার মাঠ হিসেবে সংরক্ষণ করেছিল রাজউক। ওই প্লটের দুই বিঘা নীলা দখল করে তৈরি করেন পূর্বাচল লেডিস ক্লাব। নীলা নিজেই ক্লাবের সভাপতি। ক্লাবটির সদস্যপদ বিক্রি করেন তিন লাখ টাকায়। আজীবন সদস্যপদ চার লাখ টাকা আর দাতা সদস্যপদ বেচাকেনা হয় ছয় লাখ টাকায়। পদ বিক্রিতে ক্লাবের সদস্য সংখ্যা দুই শতাধিকের বেশি হয়ে যায়। ঢাকা বিভিন্ন বড় বড় ব্যবসায়ী ও সরকারি বড়বড় কর্মকর্তাদের স্ত্রীরা এই লেডিস ক্লাবের সদস্য হন বলে জানা যায়। পরে ২০২২ সালের ১০ আগষ্ট লেডিস ক্লাবটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয় রাজউক।

শুধু লেডিস ক্লাব নয়, পূর্বাচল ক্লাব থেকেও নীলা-ফটিক দম্পতি কয়েকশত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা যায়। পূর্বাচল ক্লাবের নামে কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন নীলা ও তার স্বামী ফটিক। পূর্বাচলের ১২ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রোডের ৪ নম্বর প্লটটি রাজউক বরাদ্দ দিয়েছিল পূর্বাচল ক্লাবের নামে। প্লটটির আয়তন ১৪৭ দশমিক ১৩ কাঠা। ওই জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে ক্লাবের জমির বিপরীতে ১৪ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী আহমেদ নীলা। তার স্বামী শাহ আলম ফটিক হলেন কোষাধ্যক্ষ। নামসর্বস্ব একটি কমিটি থাকলেও পুরো নিয়ন্ত্রণই নীলা দম্পতির। পূর্বাচল ক্লাবের সদস্যপদ বিক্রি হয় ৩০-৪০ লাখ টাকায়। এরই মধ্যে প্রায় এক হাজার ব্যক্তিকে সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। তবে ক্লাবের সদস্যদের জন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। নীলা পূর্বাচল ক্লাবের সকল নিয়ন্ত্রণ তার স্বামীকে ফটিককে দিয়ে করাতেন।

পূর্বাচলে কনভেনশন সেন্টারের জমি বরাদ্দেও নীলা নয়ছয় করেন। ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে একটি কনভেনশন সেন্টারের জন্য জমি বরাদ্দের আবেদন করেন কফিল উদ্দিন ভূঁইয়া, মোজাহারুল হক ও হুমায়ুন কবির। ওই বছরের ২৩ নভেম্বর প্লটের জামানতের ১৫ লাখ টাকাও জমা দেন তারা। বোর্ড সভায় অনুমোদনের পর ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর ১ নম্বর সেক্টরের ২০৪ নম্বর রোডের ৩ নম্বর প্লটটি কনভেনশন সেন্টারের জন্য বরাদ্দ দেয় রাজউক। প্লটের আয়তন ৭৬ দশমিক ৮৩ কাঠা। প্লটটির বর্তমান বাজারদর প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বরাদ্দ পেয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির ১০ কোটি টাকা জমা দেন সংশ্নিষ্টরা। বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা হঠাৎ জানতে পারেন, ফেরদৌসী আলম নীলা ‘পূর্বাচল নীলা কনভেনশন লিমিটেড’ নাম দিয়ে ওই প্লটটি দখল করে নিয়েছেন। আর রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাত করে নতুন নামে সেটা রেজিস্ট্রির অনুমতিপত্রও রাজউক থেকে বের করেছেন। পুরো প্লটে দেয়াল দিয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন নীলা। এর মধ্যেই মূল বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে রাজউকে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্বাচলের ইছাপুরা এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের নামে জমি বরাদ্দ নেন নীলা। ওই জমিতে প্রায় ১৫টি দোকান তৈরি করা হয়। বেশিরভাগ দোকানই নীলার স্বামী, ভাই ও দেবরের নামে বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া বাকি দোকানগুলো বরাদ্দ দিতে ৫-১০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ছিলো নীলার আধিপত্য। ইউসুফগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ কমিটি সভাপতি হয়ে কলেজের নামে হাটের ইজারা নিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নীলার ক্ষমতার কাছে এখানকার স্থানীয় ত্যাগী-প্রবীণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অসহায় ছিলো। হঠ্যাৎ ফুলে-ফেঁপে উঠা নীলা ছিলো বেপরোয়া। নীলা মার্কেট ও আশপাশের গ্রামগুলো এখন অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানা। জুয়া-মাদক, ছিনতাই থেকে শুরু করে এমন কোন অপকর্ম নেই যা এখানে হয় না। নীলার বাবা আজিমউদ্দিন ভূঁইয়া নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে ভাতা তুলতেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, উনি কোথায় যুদ্ধ করছেন মনে হয় উনি ছাড়া আর কেউ বলতে পারবেন না। ক্ষমতার দাপটে এটা করিয়ে নিয়েছেন। গত কয়েক বছর আগে তৎকালীন রূপগঞ্জের ইউএনও মমতাজ বেগম মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে নীলার বাবার ইন্টারভিউ নিলে তিনি কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। সঠিক উত্তর না দিতে পারলেও নীলা নিজের দলীয় ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে তার বাবা আজিমউদ্দিনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শনাক্ত করান।

পূর্বাচল কনভেনশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘নীলা যে কীভাবে এ কাজগুলো করল, আমরা বুঝতেই পারিনি। ঘটনা জানার পর আদালতে মামলা করেছিলাম। আদালত রাজউককে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। রাজউক তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত এ বিষয়ে নীলার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।’ পরে নীলাকে এ ব্যাপারে কয়েকবার দুদকে গিয়ে হাজিরা দিতে হয়েছে।

কথা হয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্বাচল ক্লাবের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে তারা বলেন, পূর্বাচল ক্লাবের সভাপতি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী আলম নীলা। নীলা সাধারণ সম্পাদক হলেও পুরো ক্লাব ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। সদস্যপদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা ফি হিসেবে দিতে হতো। কিছু দিনের মধ্যেই সেটা ১০ লাখ টাকা করা হয়। বর্তমানে ফি ৫০-৬০ লাখ টাকা। এক হাজার সদস্যের কাছ থেকে গড়ে ১৫ লাখ টাকা নিলে মোট টাকার অঙ্ক দাঁড়ায় ১৫০ কোটি টাকা। জমির দাম পরিশোধ ও শুধু একতলা একটি অফিসকক্ষ ছাড়া কার্যত ক্লাবের জন্য কোনো কাজই করা হয়নি। যে অবকাঠামো করা হয়েছে, তাতে এক থেকে দুই কোটি টাকা খরচ হতে পারে। বাকি প্রায় ১৩৪ কোটি টাকার হদিস নেই। কখনও সাধারণ সভা না হওয়ায় সদস্যদের ধারণা, এসব টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

পূর্বাচলের প্রকল্প পরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা পূর্বাচলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।

রাজউকের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, আমি তো এখানে নতুন যোগদান করেছি। এ ব্যাপারে আমাকে দেখে বলতে হবে।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফেরদৌসি আলম নীলা ও তার স্বামী ফটিকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সর্বশেষ সংবাদ