অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগে কোনো ত্রুটি থাকলে শুধু এ কারণে তাদের কোনো কাজ অবৈধ হবে না। এ সম্পর্কে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্নও তোলা যাবে না। এমনকি মামলাও করা যাবে না। এমন বিধান রেখে চূড়ান্ত করা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশের খসড়া।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হলেও এখনো অধ্যাদেশ আকারে জারি হয়নি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। পরদিন রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। তারপর আপিল বিভাগের মতামত নিয়ে ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সেদিন প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি।
সরকারি সূত্র বলছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও রাষ্ট্রের নির্বাহী কাজ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য এই অধ্যাদেশ করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশ জারি করবেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা কতজন হবেন, তা অধ্যাদেশের খসড়ায় সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও ২০ জন উপদেষ্টা রয়েছেন।